,

মাধবপুরে ফসলী জমির মাটি বিক্রি :: অনাবাদি হচ্ছে জমি

শেখ জাহান রনি, মাধবপুর : মাধবপুরে অবাধে ফসলী জমির মাটি বিক্রির ফলে অনাবাদি হচ্ছে কৃষি জমি। উপজেলা আন্দিউড়া ইউনিয়নের হারিয়া গ্রামের দক্ষিন দিক দিয়ে প্রবাহিত বোয়ালিয়া নদী ও নদী তীরবর্তী জমি থেকে ড্রেজার মেশিনে মাটি ও বালি আহরণ করে ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন মিল কারখানা ইটভাটায় সরবরাহ করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হচ্ছে একটি প্রভাবশালী চক্রের লোকজন। অবাধে মাটি ও বালি উত্তোলনের ফলে পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। হুমকির মুখে পড়েছে আশেপাশের ফসলি জমি।
সরেজমিনে এমন বিধ্বংসী কর্মকান্ডের প্রমান পাওয়া গেছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হাইওয়ে ইন হোটেল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার পুর্বে হারিয়া গ্রামের দক্ষিনে ও হরিশ্যামা গ্রামের পশ্চিমে বোয়ালিয়া নদী থেকে প্রতিদিনই ট্রাক্টর ভর্তি মাটি ও বালি বিভিন্ন মিল কারখানা ও ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন তথ্য পাওয়ার পর সরেজমিনে ওই এলাকায গিয়ে দেখা যায় কয়েকটি এক্সকেভেটর ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে একই সাথে নদী থেকে বালি ও নদীতীরবর্তী জমি থেকে মাটি উত্তোলন করে ট্রাক্টরে ভর্তি করছেন ৮/১০ জন শ্রমিক। সেখানে শ্রমিকদের থাকা খাওয়ার জন্য তাঁবু খাটানো রয়েছে। শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায় দীর্ঘদিন ধরেই এভাবে বালি ও মাটি আহরণ করে মিল কারখানা ও ইটের ভাটায় চড়ামূল্যে বিক্রী করে আসছেন হারিয়া গ্রামের রাষ্টু মিয়া নামের এক লোক। রাষ্টু মিয়ার সাথে আরো অনেকেই রয়েছেন বলেও তারা জানান। তবে তাদের নাম বলতে পারেননি। নদীর দুই দিকের জমিতে অন্তত ৭/৮ টি জমির মাটি কেটে পুকুর বানানো হয়েছে।
শ্রমিকরা জানান, পুকুর বানানো উদ্দেশ্য নয়। মাটি পাচারই আসল উদ্দেশ্য। এসব জমি পুকুরে পরিনত হওয়ায় আশেপাশের অনেক জমি ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে পড়েছে। জায়গাটি খুব দূর্গম। ক্ষেতের আইল ধরে পায়ে হেঁটে যাওয়া ছাড়া যাতায়াতের আরো কোনো রাস্তা নেই। মাটি ও বালি ভর্তি ট্রাক্টর দিনরাত চলাচল করায় একমাত্র গোপাটটিও পায়ে হাঁটার অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান জানান তিনি শীঘ্রই বিষয়টি দেখবেন।


     এই বিভাগের আরো খবর